নামাজের সময়সূচি (জামালপুর) তারিখ : ০২—১০—২০২২
ফজর — ০৪:৩৫ ভোর
যোহর — ১১:৪৯ দুপুর
আছর — ০৪:০৯ বিকেল
মাগরিব — ০৫:৫২ সন্ধ্যা
ইশা — ০৭:০৫ রাত
তথ্যসূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন
হাদিস
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “হাই শয়তান কর্তৃক আসে। অতএব যখন তোমাদের কারো হাই আসে, তখন সে যেন সাধ্যানুসারে তা রোধ করে। কেননা, যখন তোমাদের কেউ হাই তুলে তখন শয়তান হাসে।” (বুখারী ৩২৮৯, মুসলিম ২৯৯৮)
বাণী চিরন্তন
বিদ্ধানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও পবিত্র। ”
—আল হাদিস।
জানা অজানা
প্রশ্ন: শহীদ মিনারের স্থপতি কে?
উত্তর: হামিদুর রহমান।
প্রশ্ন: জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি কে?
উত্তর: সৈয়দ মাইনুল হোসেন।
প্রশ্ন: “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটির সুরকার কে ?
উত্তর: আলতাফ মাহমুদ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের সাথে ভারতের কয়টি রাজ্যের সীমান্ত আছে?
উত্তর: ৫ টি।
প্রশ্ন: পৃথিবীর মহাদেশ সংখ্যা কয়টি?
উত্তর: ৭টি।
প্রশ্ন: পৃথিবীর মহাদেশগুলোর নাম কী?
উত্তর: এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, উওর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ওশেনিয়া ও এন্টার্কটিকা।
বচন
আউশ ধানের চাষ
লাগে তিন মাস।
অর্থঃ আউশ ধান্য রোপণ ও কাটিবার সময়ের মধ্যে তিন মাস গত হইয়া থাকে।
কৌতুক
স্ত্রীকে দেখলে স্বামীর ঘুম হারাম
স্ত্রী: তুমি একটু আমার দিকে ঘুরে শোও না, প্লিজ!
স্বামী: কেন?
স্ত্রী: আমার ভয় করছে। তুমি সামনে থাকলে শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারি।
স্বামী: তুমি শুধু তোমার কথাই ভাবলে? এটা করলে যে আমার সারারাত ভয়ে কাটবে, তা দেখবে কে?
আইন ও আদালত
রেজিস্ট্রি হয়নি, ছবি দিয়ে কি বিয়ে প্রমাণ সম্ভব?
(বিষয়টি বোঝাতে ছদ্মনাম ও কল্পিত কথোপকথন ব্যবহার করা হয়েছে।)
রফিক ও শাহানা মুসলিম ধর্মমতে বিয়ে করেন। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের চার বছর পর শাহানার সম্মতি না নিয়েই রফিক আরেকটি বিয়ে করেন। শাহানাকে দেনমোহর, ভরণপোষণ কিছুই দেন না রফিক। এখন হঠাৎ করেই রফিক বিয়েটা অস্বীকার করছেন, কারণ তাঁদের বিয়েটা রেজিস্ট্রি করা হয়নি। তাই শাহানা মামলা করার কথা বললে রফিক বিয়েটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। শাহানা খুব অসহায় হয়ে পড়েন। তাঁর স্বামীর কাছ থেকে অধিকার কীভাবে আদায় করবেন, তা নিয়ে তিনি এক আইনজীবীর কাছে যান। আইনজীবীর সঙ্গে শাহানার কথোপকথন পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
আইনজীবী : আপনার বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল?
শাহানা : ‘বিবাহ রেজিস্ট্রেশন’ কী, এটাই তো বুঝি না। এমন কিছু হয়েছে বলে মনে পড়ে না।
আইনজীবী : রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে তালিকাভুক্তি। আইনের দ্বারা নির্ধারিত তথ্যাবলি দিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সরকারিভাবে বিবাহ তালিকাভুক্তি করাই হচ্ছে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন।
১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বিবাহ সরকার নির্ধারিত কাজী দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা আবশ্যক। বিবাহ রেজিস্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৮৭২ সালের খ্রিস্টান ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, খ্রিস্টানদের বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। খ্রিস্টান বিয়েতে রেজিস্ট্রেশন বিয়ের একটি অংশ হওয়ায় প্রায় সব বিয়েরই রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে।
শাহানা : মুসলিম আইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
আইনজীবী : মুসলিম পারিবারিক আইনে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা কঠিন। রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে মেয়েরা প্রতারিত হতে পারে। সব বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা আবশ্যক। দেনমোহর, ভরণপোষণ, উত্তরাধিকার নির্ণয়, সন্তানের পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামা একটি আইনগত দলিল। বিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কেউ যদি বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁর দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। তবে রেজিস্ট্রেশন না হলে বিয়ে বাতিল হবে না। বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে উভয়ের ওপর কিছু দায়—দায়িত্ব বর্তায়।
আইনজীবী : আপনার বিয়ের সময়ের কোনো ছবি আছে বা বিয়ে প্রমাণ করার মতো কোনো তথ্য আছে?
শাহানা : হ্যাঁ, আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি আছে। এ ছাড়া যে কাজি আমাদের বিয়ে পড়িয়েছেন, তিনি পারিবারিকভাবে আমাদের পরিচিত।
আইনজীবী : ছবি দিয়ে বিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব। কিন্তু আপনার বিয়ে রেজিস্ট্রি করা উচিত ছিল। তাহলে এত সমস্যা হতো না।
শাহানা : আমি কী ধরনের প্রতিকার পেতে পারি?
আইনজীবী : আপনি পারিবারিক আদালতে আপনার মেয়ের ও আপনার জন্য ভরণপোষণের জন্য মামলা করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আদালতে আপনার বিয়ের ছবি দেখাতে হবে। আদালতে মামলা দায়েরের পর আপনার স্বামীর কাছ আদালত থেকে সমন পাঠানো হবে। তখন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আপনার অনুকূলে রায় দেবেন। আপনি এভাবে আইনগত প্রতিকার পেতে পারেন।
লেখক : শুভ্র সিনহা রায়, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।